প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও পরিচিতি
শীতলক্ষা নদীর অববাহিকায় নরায়ণগঞ্জ পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে ৪৭ কে.বি. সাহা রোড, আমলাপাড়ায় সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলটি অবস্থিত। ২০০০ সালে এই অঞ্চলের জনদরদী শিক্ষানুরাগী, প্রতিতযশা শিল্পপতি জনাব কাসেম জামাল তাদের পারিবারিক জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামোগত কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব আনোয়ার হোসেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক। তিনি ২০০০ সালে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান প্রাক্কালে ছাত্র-ছাত্রী ছিল ১৭ জন। বিদ্যালয়ের ধরণ ছিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সকলের নিরলস এবং নিরবিচ্ছিন্ন পরিশ্রমের ফসল হিসাবে বিদ্যালয়টি ধাপে ধাপে উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। এটি একটি কো-এডুকেশন এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রাথমিক এবং ২০১০ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। ২০১০ হতে ২০১২ পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতিসহ ২০১২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীদের প্রেরণের অনুমতি প্রদান করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা। উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে রেজিস্টারভুক্ত হয়, ২০১২ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত রেজিস্টারভুক্তহয়। ২০১০ সালে বিদ্যালয়ে ব্যবসায়ে শিক্ষা, কম্পিউটার বিভাগ ও কৃষি/গার্হস্থ্য খোলার অনুমতি দেয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি চালু রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ১১৪ জন এবং ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ২৭ জন। অত্র বিদ্যালয়ে বর্তমানে নার্সারী থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ২০০০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ে ব্যবসায়, মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগ চালু আছে। বিদ্যালয়ের মোট জায়গার পরিমাণ ১৯.৬০ শতক। বর্তমানে এটি পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন। যার আয়তন ২২০০০ বর্গ ফুট। বর্তমানে ২৮টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি লাইব্রেরী, ১টি বিজ্ঞানাগার, ১টি কম্পিউটার ল্যাবসহ একটি খেলার মাঠ রয়েছে।
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা:
১। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ
২। শৌচাগার ১২টি
৩। গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ
৪। পানীয় জল হিসাবে ফিল্টার করা জল
৫। নিয়মিত সহ পাঠক্রমিক কার্যক্রম
৬। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ৯টি ক্লাবভিত্তিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
৭। থানা ভিত্তিক সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
৮। গার্লস গাইড কার্যক্রম চালু
৯। শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা
১০। গরীব ও মেধাবীদের বিনা বেতনে পড়লেখার ব্যবস্থা
উল্লেখ্য যে, শিক্ষক শিক্ষিকাগণ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিশ্রম করে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করে চলছেন। সঠিক ফলোআপ এবং সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া চালু রাখার পরেও অভিভাবকগণের কিছুটা সচেতনার অভাবে টার্গেটকৃত সুশিক্ষার ফলাফল পেতে বেগ পেতে হয়।
সুযোগ-সুবিধা
বিদ্যালয়ের শিক্ষাদান পদ্ধতির মধ্যেই সুবিধাদি অনেকটা বর্ণিত হয়েছে। তারপরও আরো অনেক সুবিধা ও সহযোগিতা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রদান করে থাকে। যেমন- (১) শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান। (২) মূল পাঠের পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, কী-বোর্ড, গিটার, তবলা, স্কাউটিং, রেডক্রস, বিতর্ক বিশেষজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা শেখানো। এর বিনিময়ে কোনো অতিরিক্ত ফিস নেয়া হয় না। (৩) সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিজস্ব জেনারেটর রয়েছে। (৪) কম্পিউটার ল্যাব সবার জন্য উন্মুক্ত ইন্টারনেট সেবা প্রদান। (৫) বিদ্যালয়ের ক্যাশ গ্রহণ, রেজাল্ট প্রদান, যোগাযোগের জন্য ঝগঝ ইত্যাদি সফ্টওয়্যার কর্তৃক পরিচালিত। (৬) জাতীয় বিজ্ঞান প্রজেক্ট, জাতীয় দেয়ালিকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, গণিত, বিজ্ঞান ও এস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই করানো হয়। তাছাড়া জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা, জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক, শিশুদের জাতীয় মৌসুমী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহ করিয়ে থাকে। এজন্য শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ, চর্চা এবং অংশগ্রহণ বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করা হয় না। (৭) ডে-গার্ড, নাইট-গার্ডের বাহিরে মেয়েদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য তিনজন মহিলা নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন। (৮) ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেট ইত্যাদি সুবিধা। (৯) আনরুলি ছেলে-মেয়েদের জন্য কাউন্সেলর রয়েছেন। (১০) বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে গেস্ট টিচার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নবম, দশমের শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চতর জ্ঞানদান করা হয়।